সোমবার, ১৬ মে ২০২২, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় ছাত্র রাজনীতীতে এখন সব থেকে বেশি আলোচনায় রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা সজীব শেখ। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের যে কোন রাজনৈতিক প্রোগামে সব থেকে বড় মিছিল নিয়ে হাজির হতে দেখা যায় শেখ সজিবকে।
কুষ্টিয়া পৌরসভার আড়–য়া পাড়ার মৃত মিলন শেখের ছেলে সজীব শেখ। লেখাপড়ার পশাপাশি ছাত্রলীগের সাথে পুরোদমে জড়িত সেই স্কুল জীবন থেকেই।
বর্তমানে জেলা ছাত্রলীগের কমিটির আগে তুষার-সাদের জেলা ছাত্রলীগের সফল কমিটিতে সজীব শেখ জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে সফলতার সাথে।
সে সময় মাঠের কর্মী হিসাবে ব্যাপক সফলতা দেখিয়ে তুষার সাদের খুবই আস্থাভাজনও ছিলেন এই সজীব।
বিশেষ করে কুষ্টিয়া জেলার সব উপজেলা ও শহরে এই সজীবের রয়েছে শত শত কর্মী ।
মূলত সজীবের অমায়িক ব্যবহার, যে কোন কর্মী বিপদে পড়লে পাশে থাকা আর বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতি সীমাহীন ভালোবাসাই মূলত সজীবের মূল পুঁজি। জানা গেছে, এই কারনেই জেলা জুড়ে সব খানে সজীব ভাই হিসাবে শক্তিমান পরিচিতি পেয়েছে এই সজীব।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া শহর কেন্দ্রিক যে কোন ছাত্র সংগঠনের নেতার থেকে সজীবের জনশক্তি সব থেকে বেশি।
বিভিন্ন সময় দেখা গেয়ে, সুসময়ে অনেক নেতাই মাঠে থেকেছে কিন্তু প্রতিবাদের জন্য যখন রাজ পথে নামার প্রয়োজন হয়েছে তখন সজীবকে তার শত শত অনুসারীদের নিয়ে মাঠে থাকতে দেখা গেছে সবার আগে।
বিশেষ করে কুষ্টিয়াতে ভয়াবহ করোনা মহামারীর প্রথম দিকে যখন সবাই বাসা থেকে বের হয়নি, ঠিক তখনই করোনায় আক্রান্ত রুগীদের বাড়িতে অক্সিসিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়েছে সজীব ও তার অনুসারীরা। এছাড়াও সে সময় খাবার, ওষুধ এমনকি বাজারও অসহায়দের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসে এই ছাত্রলীগ নেতা।
সেসময় একদিকে যেমন বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক চ্যালেঞ্জ হাসপাতালে নেতা কর্মীদের নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষের সেবা দিতে নিয়োজিত ছিলো আর তখন সজীব ছিলো বাহিরের করোনা আত্রান্ত আর অসহায় মানুষের পাশে।
খোকসা থেকে দৌলৎপুর ছুটে চলেছে ১ টা মাত্র হেল্প লাইন নাম্বারে ফোনে।
তবে করোনায় এমন নিবেদিত প্রান প্রমানিত হওয়াতে ভাগ্য খোলে ছাত্রলীগ নেতা চ্যালেঞ্জের, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদে আসে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে নাম, কিন্তু ভাগ্য আর সহায় হয়নি শেখ সজিবের।
সাম্প্রকিত কুষ্টিয়ার ভেড়ামারাতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যখন অবমাননা করা হলো তখন অনেকেই স্যোসাল মিডিয়াতে নিন্দার ঝড় তুললেও রাজপথে কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি প্রথমে।
তবে সে সময় ঘড়ে বসে বা মুভি দেখে সময় পার করেননি এই ছাত্রলীগ নেতা। দেখা গেছে কয়েক হাজার নেতা কর্মী নিয়ে কুষ্টিয়ার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল করে মজমপুরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে।
আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীসহ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে, নানান কেন্দ্রঘোষিত প্রোগামে অনেক বড় মিছিল নিয়ে হাজির হতে দেখা যায় তরুন তুর্কীএই ছাত্রলীগ নেতা সজীবকে।
আর এর ফলেই নিজ দলীয় কিছু মানুষের চোখের বিষ হযে পড়ে সজীব। নানা ইস্যুতে সজীবকে জড়ানো হয়েছে। শহরের অলিতে গলিতে কোথাও মাড়ামারি হলেই সজীবের নামে মামলা করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে অথচ অনুসন্ধানে দেখা গেছে সেদিন সজীব কুষ্টিয়াতেই ছিলোনা। ঠিক এভাবে মাদক, অস্ত্র, মারামারিসহ নানা অপকর্মের সাথে সজীবকে জড়িয়ে দিনে দিনে বানানো হয়েছে কথিত কিশোর গ্যাং লিডার সজীব। অথচ বাস্ততে দেখো গেছে সজীব সবার কাছে একজন আদর্শবান ছাত্রনেতা, ছাত্রদের কাছে আস্থার স্থান, বিপদের বন্ধু আর সজীব ভাই হিসাবেই পরিচিতো।
কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো পরিশ্রমী, ত্যাগী এই ছাত্রলীগ নেতার নামে প্রায় হাফ ডজন মিথ্যা ও পরিকল্পিত মামলা হলেও জেলার দলীয় হাইকমান্ড থেকে নেওয়া হয়নি সহযোগীতা পূর্ণ কোন ব্যবস্থা।
সজীবের অনুসারী একাধিক ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, সজীব ভাই অনেক ভালো মনের মানুষ। আমাদের সকল বিপদে আপদে তাকে পাশে পাই। সজীব ভাইয়ের জন্যই আজ আমরা ছাত্রলীগ করছি। সজীব ভাই-ই আমাদের নিজ হাতে ছাত্ররীগে নিয়ে আসছে। তবে খারাপ লাগে সজীব ভাই একজন কর্মী বান্ধব নেতা হয়েও তাকে মূল্যায়ন করা হয়না। আবার কোন ঘটনার সাথে জড়িও না হয়েও তার বিরুদেদ্ধ মামলা দেওয়া হয়। সে সময় তারা বেশ দুঃখ প্রকাশ করেন এবং জানান তারা আগেও সজীব ভাইয়ের সাথে ছিলাম, যতদিন ছাত্র রাজনীতি করবো সজীবের সাথে থেকেই করতে চাই।
সজীব শেখের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি, আমি শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। আমাকে রাজনৈতিক ভাবে কোনঠাসা করতেই আমাকে কিশোর গ্যাং তকমা লাগানো হয়। কিন্তু ওরা এটা জানেনা যে, আমি ছাত্ররাজনীতি করি, সো আমার কাছে ছাত্রদের আগাগোনা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি সজিব হাল ছেড়ে দেওয়া মানুষ আমিনা। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে যতদিন বয়স আছে অবশ্যই ছাত্রলীগ করে যাবো আমার সাথের ভাইব্রাদাদের নিয়ে ইনশাল্লাহ।
Leave a Reply