শনিবার, ২১ মে ২০২২, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
তানজিরুল ইসলামঃ বাংলাদেশ ব্যাংক ভার্চুয়াল আইডি কার্ডধারী ফ্রিল্যান্সারদের সহজে ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারটি দেশের কার্যরত সব তফশিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের প্রয়োজনীয় বিকাশের লক্ষ্যে বিদ্যমান ব্যাংকিং আইন-কানুন ও বিবি-বিধান পরিপালন সাপেক্ষে ভার্চুয়াল আইডি কার্ডধারী আইটি ফ্রিল্যান্সারদের ঋণ সুবিধা ও ক্রেডিট কার্ড সুবিধা প্রদানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পের মধ্যে ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ক্রমাগত বাড়ছে। যা দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে শুরু করেছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার ফ্রিল্যান্সিং খাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি, উদ্যোক্তা তৈরি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিনিয়োগ বাড়ানো জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তথ্য-প্রযুক্তি খাতে পারদর্শী ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে বাংলাদেশের আইটি ফ্রিল্যান্সারদের ভার্চুয়াল আইডি কার্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সব কাজেরই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক দুটোই থাকে। তবে ফ্রিল্যান্সিং-এ নেতিবাচক দিক থেকে ইতিবাচক দিকই বেশি লক্ষ্য করা যায়। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার বিষয়ে ভালো জ্ঞান না থাকলে ভবিষ্যতে টিকে থাকা কঠিন হবে। তাই কম্পিউটার দক্ষতা বৃদ্ধি করে সেটা ফ্রিল্যান্সিং-এ কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। বর্তমান সময়ে যে জাতি যত বেশি কম্পিউটার শিক্ষায় দক্ষ তার তত বেশি উন্নত। তাছাড়া বাংলাদেশেও এখন সর্বক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। ব্যবসায়, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রায় সব ক্ষেত্রেই তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষণীয়। ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক মর্যাদা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারের ফ্রি-আইডি প্রদান, ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে অবহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন টিভি-চ্যানেল, পত্রপত্রিকায় বেশি বেশি প্রচারণা করা দরকার। এতে ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে, শিক্ষিত বেকাররা ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানে উত্সাহিত হবে, এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হবে।
লেখক, তানজিরুল ইসলাম (সামি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
Leave a Reply